আট মাসে ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার স্বর্ণ, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
প্রকাশিতঃ 10:08 am | September 11, 2020
কালের আলো সংবাদদাতা:
যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে গত আট মাসে ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ( বিজিবি) ও পুলিশ সদস্যরা । এ সময় স্বর্ন, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ৩১৮ জন আটক করা হয়।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক সেলিম রেজা ও বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শার্শা সীমান্ত থেকে ৪৯ বিজিবির অভিযানে উদ্ধার কৃত অস্ত্র ও মাদকের মধ্যে রয়েছে, ১৩ টি বিদেশি পিস্তল , ২৪ টি ম্যাগাজিন , ৫৮ টি গুলি , ২৫.৪১ কেজি স্বর্ণ, ২০ হাজার ৮শ ২৭ বোতল ফেনসিডিল , ৫’শ ৪৭ কেজি গাঁজা, ৪’শ ৬ বোতল দেশি-বিদেশি মদ, ৫’শ ৬৭ ইয়াবা, ও ৪০ গ্রাম হেরোইন। যার সিজার মূল্য ১৭ কোটি ৭৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এসময় অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত ২০৩ জনকে আটক করে বিজিবি।
অপরদিকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার কৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে,৩ হাজার ৬’শ ১৭ বোতল ফেনসিডিল, ১’শ ২৬ কেজি গাঁজা, ১৪’শ ৭৪ পিচ ইয়াবা, ৩০ লিটার মদ ও ৩০ গ্রাম হেরোইন। যার সিজার মূল্য ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫শ টাকা। এসময় মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত ১১৮ জনকে আটক করা হয়।
এদিকে শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এলাকার সচেতন নাগরিকেরা জানান, প্রায় প্রতিদিনই শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে স্বর্ণ, অস্ত্র ও মাদকসহ বহনকারীরা আটক হচ্ছে। তার পরও থেমে নেই এসব অবৈধ ব্যবসা। তবে বিজিবি ও পুলিশ স্বর্ণ, অস্ত্র ও মাদকসহ বহনকারী দেরকে আটক করলেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে মূল হোতারা।
এসময় তারা অভিযোগ করে জানান, ভারতের সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিএসএফ সীমান্তে কড়া নজরদারি বাড়ালে স্বর্ণ, অস্ত্র, অবৈধ অর্থের লেনদেন ও মাদকের চোরাচালান বন্ধ হয়ে যাবে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সেলিম রেজার কাছে চোরাচালানের সাথে জড়িত মূল হোতাদের আটক না হওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, চোরাচালানের সাথে জড়িত মূল হোতারা নিজেরা স্বর্ণ, অস্ত্র, অবৈধ অর্থ ও মাদকসহ চোরাচালানের মালমাল তারা নিজেরা বহন করেনা। যার কারনে তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা সম্ভব হয় না। এজন্য তাদের চোরাচালানের মালমালসহ বহনকারী আটক হলেও তাদের আটক করা সম্ভব হয় না। তবে কোনো কোনো সময় বহনকারীদের তথ্য অনুযায়ী মূল হোতাদের আটক করে জেলে পাঠানো হলেও উপযুক্ত প্রমান না থাকার কারনে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়
কালের আলো/এসবি/এমকেএস