একজন ‘জীবন্ত আইন ডিকশনারী’ ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক

প্রকাশিতঃ 3:37 pm | October 24, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক উল হক শুধু প্রতিথযশা আইনজীবীই ছিলেন না, সমাজসেবক হয়ে দেশের নানা সংকটে ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বললেন, ‘এটা পড়ে আয়’ : অ্যাটর্নি জেনারেল

রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়ার পর তিনি এলএলবি ডিগ্রি করেন।

তিনি ১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে বার অ্যাট ল করেন যুক্তরাজ্য থেকে।

আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেন’র দুঃসময়ে দুই নেত্রীর আইনজীবী ছিলেন রফিক উল হক

কর্মজীবনের শুরুর পর থেকেই তিনি বেশ সুনামের সাথে কাজ করেছেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন ‘জীবন্ত আইন ডিকশনারী’।

তবে অসুস্থততা ও বয়সের কারনে ২০১৮র ফেব্রুয়ারির পর থেকেই বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে অনিয়মিত হয়ে পরেন। গত বছর থেকে একেবারেই সুপ্রীম কোর্টে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ব্যরিষ্টার রফিক-উল হকের। এরপর এক রকম নিভৃত জীবন যাপন করছিলেন এই মানুষটি। কিন্তু সুপ্রীম কোর্টে গত এক দশকে তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের অভিভাবক। সুপ্রীম কোর্টের অনেক বিচারপতি আইনী ব্যাখার জন্য তাকে ডাকতেন, তার পরামর্শ নিতেন।

আরও পড়ুন: তাপসের ‘ব্যারিস্টার’ হবার পেছনেও ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক

২০১৫ তে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে কোম্পানী আইন সংক্রান্ত এক মামলায় কিছু আইনী ব্যাখা প্রয়োজন হয়। আপীল বিভাগের ফুল কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয় ব্যরিষ্টার রফিক উল হককে ডাকা হবে। এসময় বেঞ্চের একজন বিচারপতি বলেন‘ মি: ল ডিকশনারী, ক্যান ইউ প্লিজ হেলপ আস।’ শুধু একটি ঘটনা নয়। সুপ্রীম কোর্টে ‘লাইভ ডিকশনারী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ব্যরিষ্টার রফিক উল হক।

আরও পড়ুন: বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক উল হক

আইন তার মুখস্ত ছিলো ঠোটের ডগায়। বিভিন্ন মামলার ‘ রেফারেন্স’, তার মুখস্ত থাকতো। এজন্য অনেক আইনজীবী তার শরনাপন্ন হতেন। অবলীলায় তিনি বলতে পারতেন, আইনের বিভিন্ন রেফারেন্স। কোন পাতায় কি আছে তা অবলীলায় বলতেন। এজন্য বিচারপতিরাও তার শরানাপন্ন হতেন। শেষ পাচটা বছর সুপ্রীম কোর্টের সত্যিকারে অভিভাবকে পরিণত হয়েছিলেন, এই প্রাণবন্ত মানুষটি।

কালের আলো/এসবি/এমএম