এক মঞ্চে সিভিল সার্ভিসের সবাই, বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা রুখে দেওয়ার বজ্রকঠিন শপথ

প্রকাশিতঃ 11:04 pm | December 12, 2020

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

বিশাল মঞ্চে সুদৃশ্য এক ব্যানার। দু’পাশেই হাস্যোজ্জ্বল ধন্য সেই পুরুষ। এর ঠিক মাঝখানে জ্বলজ্বল করছে ঐতিহাসিক প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’। মনকষাকষি ভুলে প্রথমবারের মতো এক মঞ্চে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৯ টি ক্যাডারের প্রতিনিধিরা। যেন অরাজনৈতিক মহাকাব্যে অবিস্মরণীয় একদিন! নতুন এক ইতিহাসের স্বাক্ষী হলো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র।

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যখন বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভাস্কর্যের মোড়কে অবমাননার নির্লজ্জ ঔদ্ধত্যপনা প্রদর্শন করেছে তখন হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি এসব ক্যাডাররা। স্বত:স্ফূর্তভাবেই তাঁরা একমঞ্চ ভাগাভাগি করেছেন। বজ্রকঠিন এক শপথে ইস্পাত দৃঢ় দীপ্তিময় আভা ছড়িয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার অমার্জনীয় অপরাধ কোনদিনই মেনে নেওয়া হবে না। এর সঙ্গে জড়িত অপশক্তির ঠাঁইও বাংলার মাটিতে হবে না।

বিজয়ের মাসের শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও ভাস্কর্যবিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম আয়োজিত অনন্য এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস নিজের বক্তব্য শেষ করলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে।

১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে মহাপরাক্রমশালী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করতো। এ স্লোগান জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করেছিল সেই মুক্তিযুদ্ধে। বাঙালির অনুভূতি, বিজয় আর মুক্তির এ স্লোগানকে নিজেদের বক্তব্যের শেষে উচ্চারণের জন্য আহ্বান জানান ড.আহমদ কায়কাউস। তাঁর এ উচ্চারণ যেন মন্ত্রের মতো প্রবেশ করে উপস্থিত সবার বুকের অলিন্দে, মগজের কোণায় কোণায়। সমস্বরে তাই কীনা সবাই বলে উঠেন-‘জয় বাংলা’।

বঙ্গবন্ধুর অসম সাহসিকতা, যাদুকরী নেতৃত্ব আর প্রজ্ঞায় আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির চরম দু:সময়ে তিনি আলোকবর্তিকা হয়ে লক্ষ কোটি মানুষের স্বপ্নের দ্বার উন্মুক্ত করেছিলেন। নিজের সংগ্রামী জীবন ও নেতৃত্বের গুণাবলির মাধ্যমেই তিনি পরিণত হয়েছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে। সেই জাতির পিতাকে যখন ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা অবমাননার দু:সাহস দেখিয়েছে তখন এক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে সাম্প্রদায়িক সেই অপশক্তিকে ঘৃণাভরেই প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম।

‘বাংলাদেশের ২৯ টি ক্যাডারের সমগ্র কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞা করছি, জাতির পিতার অসম্মান আমরা হতে দেবো না’ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস। বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপন কীর্তিতেই দেদীপ্যমান এক দীপশিখা বাঙালির হৃদয়ে।

দেশের ২৯ টি ক্যাডারের সমগ্র কর্মকর্তাদের মন-মননে, চিন্তা-চেতনে, আদর্শ-অনুপ্রেরণে, চেতনায় জাগরণে প্রদীপ্ত শিখারূপে বঙ্গবন্ধু প্রবাহিত বলেই কীনা সব ভেদাভেদ ভুলে এক মঞ্চে উপস্থিত সবাই। সেই তথ্যই জানাচ্ছিলেন ড.আহমদ কায়কাউস। বলছিলেন, ‘আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন ধরণের বচসা হয়। কিন্তু আজ ২৯ ক্যাডার স্বত:স্ফূর্তভাবে চলে এসেছে। এটাই জাতির পিতার শক্তি। বঙ্গবন্ধুই আমাদের অনুপ্রেরণা।’

আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা এ দেশের জনগণের সেবক। এই সেবা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিসিএসে ২৯টি ক্যাডার পদ সৃষ্টি করে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব সংবিধানকে সমুন্নত রাখা। কোথাও অন্যায় হলে প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, আমাদের জীবদ্দশায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসম্মান হতে দেব না।

তিনি বলেন, কয়েকদিন পরেই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। এই সময়ে মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা অশুভ প্রয়াস। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এইসব অশুভ প্রয়াস প্রতিহত করতে হবে।

‘বঙ্গবন্ধু মানেই হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের সংবিধানের অংশ’ বলছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের এই দেশ দিয়েছেন। পতাকা-মানচিত্র ও বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়র ব্যবস্থা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলা সংবিধান, রাষ্ট্র ও এদেশের জনগণের ওপরে হামলা। রাষ্ট্র এ হামলা আইন, বিধিবিধান অনুযায়ী কঠোর হস্তে মোকাবিলা করবে।’

হঁশিযারি উচ্চারণ করে পুলিশের আইজি বলেন, ‘আমার দেশের স্বাধীনতা, সংবিধান, রাষ্ট্র ও জনগণকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। ১৮ কোটি মানুষ ও রাষ্ট্র মিলে আমরা সবকিছু মোকাবিলা করবো। রাষ্ট্রপক্ষরা শক্তিশালী। রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার দুঃসাহস আপনারা দেখাবেন না। রাষ্ট্রের বিরোধিতা মানে হচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের বিরোধিতা।’

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ জানিয়ে ড.বেনজীর আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বারবার দেখতে পাচ্ছি টেনে-হিঁচড়ে দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের মানুষ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তেমনি দেশকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ১৮ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’

এক শ্রেণির মানুষ এদের উদ্দেশ্য কী এমন প্রশ্ন তুলে আইজিপি বলেন, ‘ধর্মকে পুঁজি করে অনেকেই রাজনীতিতে জায়গা নিতে চান। দেশটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মৌলবাদী তকমা দিতে চান।আমাদের দেশ তো মৌলবাদী দেশ না। বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ।’

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি স্বাধীনতার ৫০ পূর্তিকালেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রাণের স্পন্দন। বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে মিশে আছে আমাদের আবেগ-অনুভূতি ও স্পন্দন। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু। তিনি স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ যখন কথা বলে আমাদের প্রাণে লাগে। এ ব্যাপারে দেশের ১৭ কোটি মানুষের দ্বিমত থাকার কথা নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো প্রকার অপমান, অবজ্ঞা সহ্য করব না, মেনে নেব না।

সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি
বঙ্গবন্ধুর জেলা গোপালগঞ্জে বিচারকরসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বঙ্গবন্ধুকে অবমানার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। শহরের শেখ ফজলুল হক মণি অডিটোরিয়ামে ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’প্রতিপাদ্যে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ডিসি শাহিদা সুলতানা।

এ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।

বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া জেলার সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবীর বিন আনোয়ার, জেলার ডিসি আসলাম হোসেন, জেলা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ফরিদপুরে চেম্বারের উদ্যোগে মানববন্ধনে জেলার ডিসি অতুল সরকারের সভাপতিত্বে জেলা ও দায়রা জজ সেলিম মিয়া, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোশাররফ আলী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।

কুড়িগ্রাম জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে শনিবার। কলেজ মোড়ের শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে এ প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ডিসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

এ সময় বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এবং নারী ও শিশু জজ অম্লান কুসুম বিষ্ণু, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, এডিসি (রাজস্ব) জিলুফা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

নওগাঁয় সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। শহরের গোস্তহাটির মোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনু, পরিচালক জাহিদুল হাসান জুয়েল, পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য় ভাঙচুরের প্রতিবাদে নীলফামারীতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্য়ালয়ের সভা কক্ষে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ডিসি হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম সরকার, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মাহাবুর রহমান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদুল হক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান প্রমূখ।

খুলনায় শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশ। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ সরকারি কর্মকর্তারা মৌন পদযাত্রা করে শহীদ হাদিস পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী, খুলনার ভারপ্রাপ্ত ডিসি ইকবাল হোসেন, পুলিশ সুপার শফিউল্লাহসহ জেলা ও বিভাগীয় দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য’নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন জেলার ডিসি মো. কামাল হোসেন। শহরের কবিতা চত্বর সরণীস্থ নির্মাণাধীন শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য নাম। বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা মানেই মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকেই অস্বীকার করার শামিল। জাতির পিতার ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছে। এসব অপরাধীরা দেশ ও জাতির শত্রু। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ধরণের যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।
এছাড়াও, নরসিংদী, কুমিল্লা, মাগুরা, কক্সবাজার, বগুড়া, রাজশাহী, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কালের আলো/এনএল/এআরকে