যে কারণে খুন হলেন সাংবাদিক সুবর্ণা নদী

প্রকাশিতঃ 1:01 pm | August 29, 2018

পাবনা প্রতিনিধি, কালের আলো :

স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার কারনেই খুন করা হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদী (৩২)। এমন দাবি করেছে সুবর্নার বড় বোন চম্পা খাতুন।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০টা দিকে নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এ নারী সাংবাদিককে। এ ঘটনায় নিহতের সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

চম্পা খাতুন জানান, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে তিন-চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুবর্ণার। বছরখানেক আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

এর পর সুবর্ণা পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলায় সুবর্ণা তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করেন। গতকাল এ মামলার সাক্ষ্য দেয়ার দিন ছিল। এতে সুবর্ণা তার পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও উপস্থাপন করেন।

চম্পার দাবি, মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুবর্ণাকে হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, পাবনা পৌর সদরের রাঁধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ পাবনার ইদ্রাল ইউনানি কোম্পানি ও শিমলা ডায়াগনস্টিকের মালিক আবুল হোসেনকে আটক করেছে। পুলিশের দাবি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবুল হোসেন সুবর্ণার সাবেক শ্বশুর।

সুবর্ণা নদী আনন্দ টিভির পাশাপাশি অনলাইন পোর্টাল দৈনিক জাগ্রতবাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। রাজীবের সঙ্গে বিয়ের আগেও তার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে তার ৫-৬ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

কালের আলো/গ/এমএইচএ