ভারতে অনুমোদনের সুপারিশ পেল অক্সফোর্ডের টিকা
প্রকাশিতঃ 11:04 pm | January 01, 2021
ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:
বছরের প্রথম দিনেই সুখবর পেলেন ভারতবাসী। ভারতের পুনে শহরের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কোভিশিল্ড’ টিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সিডিএসসিও এ অনুমোদন দেয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সেরাম ইনস্টিটিউট ‘কোভিশিল্ড’ নামে এই টিকাটি তৈরি করছে ।
এর আগে বুধবার ব্রিটিশ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনিকা-অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এই টিকায় অনুমোদন দেবেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানি। সাধারণত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের পরই অনুমোদন বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেন ডিসিজিআই। তবে কী কী শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
শুক্রবার সকালে সেরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’-এর অনুমোদনের জন্য আবারও বৈঠক করে এসইসি।
ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে সেই টিকা তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। ভারতে যে টিকার উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। নিম্ন ও মধ্য আয়বিশিষ্ট দেশের জন্য ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ তৈরি করার চুক্তি করেছে ভারতীয় সংস্থা।
এদিকে ফাইজারের তৈরি টিকা ভারতে বাজারজাত করতে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে সংস্থাটি।
করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রযোগ বা ‘ড্রাই রান’ শনিবার (২ জানুয়ারি) থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। দিল্লিতে শুরু হওয়া ড্রাই রানের উপর নজর রাখবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার পরপরই বাংলাদেশের মানুষও পাবে। ইতিমধ্যে দুটি দেশের বাজারে একই সময়ে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে বলা আছে, তারা ভারত ও বাংলাদেশের বাজারে একই সময়ে টিকা দেবে। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেলে তখন তা বাংলাদেশেও আসবে। চুক্তি অনুসারে সেরাম ইনস্টিটিউটের কারখানায় তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। এই টিকা দেড় কোটি মানুষকে দেওয়া সম্ভব হবে।
এছাড়া সরকারের মন্ত্রী সচিব থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার জানুয়ারিতে টিকা আসবে বলে জানিয়ে আসছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন ৫০ লাখ করে ৬ মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা আসবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস