মন্ত্রী-আমলাসহ দ্বিতীয় দিনে টিকা নিলেন ৫৪১ জন

প্রকাশিতঃ 10:04 pm | January 28, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ৫৪১ জনকে করোনাভাইরাস টিকা প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, রাজনীতিবিদ ও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধারা রয়েছেন।

দ্বিতীয় দিন টিকা গ্রহণকারী সবাই সুস্থ আছেন এবং টিকা-পরবর্তী ১০-২০ মিনিটের মধ্যেই তারা স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যান বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রায় ৭০০ জনকে টিকা প্রদানের প্রস্তুতি ছিল। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০০, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রায় ৫০ জনকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়। তবে এদিন ৫৪১ জনকে টিকা দেয়া হয়।

টিকা গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘টিকা নেয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই আমি স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেছি। কোনোরকম অসুবিধাই হয়নি।’ তিনি মিথ্যা গুজবে কান না দিতে সবাইকে অনুরোধ জানান।

এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এদিন বেলা ১১টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রথমে বিএসএমইউতে যান এবং সেখানে টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন।

এ সময় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান ও তথ্য সচিব খাজা মিয়া ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন, বিএসএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেখানে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা নেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, ঢামেকের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবিএম জামালসহ বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনরা।

টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ে সব ধরনের গুজব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করোনার টিকা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে অন্যরকম আমেজ চলে এসেছে। টিকা নেয়া কারও এখনও কোনোরকম অসুবিধা হয়নি।’

কালের আলো/এসবি/এনএল