প্রেমিককে খুঁজতে এসে আটক প্রেমিকা!
প্রকাশিতঃ 4:56 pm | September 02, 2018
বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো:
মুসলিম পরিচয়ে সালকা নামের এক তরুনীর সাথে প্রেম করে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করছিলেন পলাশ নামের এক যুবক। এর পর মেয়েটি বিয়ের কথা বললে কয়েকদিন যাবত খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না প্রেমিকের।
তাইতো প্রেমিককে খুঁজতে প্রেমিকের এলাকায় এসেছিল প্রেমিকা। কিন্তু বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পলাশের বাড়িতে এসে ঘরে বন্দী হয়েছেন সালমা নামের ওই প্রেমিকা।
ঘটনা লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার। সালমার বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে।
জানাযায়, মুসলিম পরিচয়ে চার বছর আগে সালমা খাতুনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুরের মনি শাহ রায়ের ছেলে গাইবান্ধার পল্লব রায় ওরফে পলাশ।
প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সালমাকে নিয়ে থাকা শুরু করে পলাশ। সালমা বিয়ের দাবি জানালে বোনের বিয়ে দেয়ার পর তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয় পলাশ। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিয়ে না করে টালবাহানা করতে থাকে পলাশ।
কিছুদিন আগে পলাশের সঙ্গে তার গ্রামের বাড়ি দেখতে আসে প্রেমিকা সালমা। সেখানে এসে সালমা জানতে পারে পলাশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। পরে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সালমাকে তার বাড়িতে রেখে নিজ বাড়িতে এসে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় পলাশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে বিয়ের দাবি নিয়ে পলাশের বাড়িতে এসে অনশনে বসে প্রেমিকা সালমা। এ সময় প্রেমিক পলাশ পালিয়ে যায়। পরে সালমাকে বেধড়ক মারধর করে পলাশের মা অনিতা রানী ও বাবা মনি শাহ রায়। বিষয়টি জানতে পেরে দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিক সালমাকে পলাশের বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
প্রেমিকা সালমা বলেন, পলাশকে খুঁজতে এসে আজ আমি বন্দী হলাম। চেয়ারম্যান-মেম্বার এসে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে জেলে দেয়ার ভয় দেখিয়েছেন। পলাশ আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে তার কোনো বিচার নাই উল্টো আমাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। আমাকে মারপিট করে মোবাইল ও টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়েছে তারা। আমি ন্যায় বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদিতমারীর থানা পুলিশের ওসি মাসুদ রানা বলেন, চেয়ারম্যানের মুখে ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালের আলো/এমএইচএ