আল-জাজিরার আবিস্কার ‘ধুরন্ধর’ সামির আসল পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন
প্রকাশিতঃ 9:46 pm | February 02, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট নেত্রনিউজের পর একই তালিকায় নাম লিখিয়েছে বিতর্কিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। মোটা অংকের বিনিয়োগ পেয়ে মূলত আলজাজিরা তারেকের টোপ গিলেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে সত্য অন্বেষণে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও মূলত যুদ্ধাপরাধীদের আইনজীবি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড.কামালের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান, দেশত্যাগী নাস্তিক নেত্রনিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিলকেই পুরো প্রামাণ্যচিত্রে মোটা দাগে হাইলাইটস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে আল-জাজিরার ‘মিশন উইন্টার প্রোপাগান্ডা’
তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছেন বিএনপির দন্ডিত তারেক জিয়ার শিষ্য সামিউল আলম ওরফে জুলকার নাইন সায়ের। পুরো প্রতিবেদনটিতে তাকে ‘সামি’ নামে পরিচয় করানো হয়েছে। সূত্র মতে, সুপরিকল্পিত নীল নকশার মাধ্যমে ইউরোপ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলম ওরফে জুলকার নাইন সায়েরকে ‘সামি’ নামে উপস্থাপনের মাধ্যমে কল্পিত নানা কিচ্ছাকাহিনীর সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।
জানা যায়, মাদকাসক্তি ও নৈতিক স্খলজনিত কারণে বাংলাদেশ সামরিক একাডেমি (বিএমএ) থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন তারেক-কনক-বার্গম্যানের ‘গুণধর’ সহযোগী সামি। দুর্নীতির দায়ে কারাগারে বন্দি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অন্যতম প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার সামিকেই মূল উপজীব্য করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনটিতে।
আরও পড়ুন: কন্ঠ দিলেও দৃশ্যপটে ‘লাপাত্তা’ সেই কনক সারওয়ার?
সূত্র মতে, জুলকারনাইন সায়ের একজন জন্মগত অপরাধী। এ ধুরন্ধর বাংলাদেশ থেকে সটকে বিদেশে অবস্থান করছেন। মাদক বিক্রির সময় তাকে একবার বাংলাদেশে র্যাব আটক করেছিল।

একই সূত্র জানায়, একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের (এখন অবসরপ্রাপ্ত) কন্যাকে বিয়ে করে শ্বশুর এর কাছ থেকে তিনি যৌতুক নিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়েই হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। একসময় নিজের শশুরের সঙ্গেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ‘গুজব’ উৎপাদনের ‘কারখানা’ আলজাজিরা!
বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি ‘মানসিক রোগী’ এমন টাইটেল পেয়েছিলেন। সামি কে অনিয়ন্ত্রিত এবং উশৃংখল এবং অবাধ্য জীবন যাপনের জন্য জন্মদাতা বাবা প্রয়াত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল বাসিত তাকে ‘ত্যাজ্য’ করেছিলেন।
মামুনের জবানবন্দিতে সামির নাম
তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চ্যানেল ওয়ান। ওই টিভি চ্যানেলের ইভেন্ট এর পরিচালক ছিলেন আল জাজিরার বানোয়াট প্রামাণ্য চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করা এই সামি।
ওয়ান ইলেভেনে আটকের পর যৌথবাহিনীর কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। সেই জবানবন্দিতে বলেছিলেন, ‘সামি আমার এবং তারেকের কাছে অদিতি সেন গুপ্তকে নিয়ে আসেন। আমি জেনেছিলাম সামির ‘এক্সেল ইভেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। বিদেশী নায়ক নায়িকাদের সাথে তার যোগাযোগ আছে। পরে সামিকে আমি চাকরী দেই।’ পরবর্তীতে এই অদিতিকেই বিয়ে করেছিলেন মামুন। এ বিয়ের স্বাক্ষী হয়েছিলেন তারেক।
বলিউডের সেক্স সিম্বল শিল্পাকেও এনেছিলেন সামিই
তারেক জিয়া নিজের শাসনামলে একবার বাংলাদেশে উড়িয়ে এনেছিলেন বলিউডের সেক্স সিম্বল তারকা শিল্পা শেঠীকে। তারেকের নারী সান্নিধ্যের আস্তানা হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের খোয়াবে উঠেছিলেন শিল্পা। সেখানে তারেক-মামুনের সঙ্গে গোপন অভিসারে মেতে উঠেছিলেন। বিমানবন্দরে তাকে রিসিভ করেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর।
তবে পুরো মিশনটি বাস্তবায়ন করেছিলেন আল-জাজিরার নতুন কায়দায় আবিস্কৃত জুলকার নাইন সায়ের ওরফে সামি। বার্গম্যানকে সামির বিষয়ে তথ্য দেন তারেক। বুদাপেস্টে বাংলাদেশের নামিদামি কেউ গেলেই তাদের সাথে সখ্যতা গড়তে ছবি তুলতেন সামি। পরে তাদের ছবি ব্যবহার করতেন নিজেকে জাহির করতে।
কালের আলো/এসআর/এমসি