সারাদেশে চলছে টিকাদান কর্মসূচি

প্রকাশিতঃ 2:56 pm | February 07, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

আতঙ্কের মধ্য দিয়ে মহামারির প্রায় এক বছর পার করার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা টিকাদান কর্মসূচি। ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি। দিনের শুরুতেই রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে টিকা নিচ্ছেন সরকার ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। সারাদেশের মোট ১ হাজার ৫টি হাসপাতালে চলছে এই কর্মসূচি।

দেশব্যাপী একযোগে কার্যক্রম শুরুর দিনেই করোনার টিকা নিয়েছেন সরকারের একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। এছাড়াও প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চ আদালতের একাধিক বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ উর্ধতন কর্মকর্তারাও টিকা নিয়েছেন।

সকালে মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এছাড়াও মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এর আগে সকালে বিচারপতি জিন্নাতারা হক ও বিচারপতি এনায়েতুর রহিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে টিকা নেন।

এদিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চলছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। এখানে টিকা নিয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এরপর এখানে টিকা নেন সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বেশ কয়েকজন।

এ ছাড়াও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালামসহ আরও কয়েকজন টিকা নেন।

রাজারবাগে টিকা নিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

এদিকে দুপুর অবধি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাও টিকা নিয়েছেন। এর বাইরেও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের টিকা নেয়ার কথা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য রাজধানীর ৫০টি হাসপাতাল ও রাজধানীর বাইরে ৯৫৫টি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সারাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য কাজ করবে দুই হাজার চারশ টিম। তবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম। ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

কালের আলো/বিএস/এনএল