এনবিআরে অত্যাধুনিক স্পেকটোমিটার
প্রকাশিতঃ 1:18 pm | September 05, 2018
কালের আলো ডেস্ক:
বাংলাদেশ কাস্টমসের হাতে রামান স্পেকটোমিটার চলে এসেছে। গতকাল এনবিআরে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩টি ডিভাইস হস্তান্তর করা হয়। এই হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কেমিক্যালের উপাদান (%) ও জেনেরিক নাম বলে দিবে। প্রথমে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, বেনাপোল ও ঢাকা কাস্টম হাউসে এগুলো ব্যবহার হবে। বাকি শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পর্যায়ক্রমে বসানো হবে।
ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশন (WCO)-র সিকিউরিটি প্রজেক্ট এই ডিভাইস বাংলাদেশ সরকারকে অনুদান হিসেবে দিয়েছে। এতে প্রায় ১২,০০০ কেমিক্যালসের নমুনা তাৎক্ষণিক (মাত্র ৩০ সেকেন্ড) এবং নিখুঁতভাবে রিপোর্ট প্রদান করতে সক্ষম। ফলে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল আমদানির প্রবণতা হ্রাস পাবে। সরকারের রাজস্ব বেড়ে যাবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেমিক্যালের নামে মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্যে আরো নিয়ন্ত্রণ হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আনা ভোজ্য তেলের ১০৫টি ড্রামের ভেতর কোকেন আমদানির মতো চালান শনাক্তে সহায়ক হবে।
অন্যদিকে, স্বল্প সময়ে সঠিক রিপোর্ট পাওয়ায় সৎ ব্যবসায়িরা উপকৃত হবেন। বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রিপোর্ট পেতে সময়ক্ষেপণ ও এর সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় একদিকে হয়রানি, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকির বিষয়টি অধিকতর আমলে আসবে।
লেখাটি ঢাকা শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার কমিশনার ড. মইনুল খানের ফেসবুক থেকে নেয়া।