দ্বিতীয় চালানে আসবে ৫০ লাখ টিকা: স্বাস্থ্য সচিব

প্রকাশিতঃ 11:38 pm | February 17, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

করোনার টিকার দ্বিতীয় চালান চলতি মাসের শেষে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান।

সচিব বলেছেন, আমাদের ভ্যাকসিনের পরবর্তী চালানে ৫০ লাখ ডোজ আসা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কার অবকাশ নেই। চলতি মাসের শেষে বা পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় চালানে ৫০ লাখ ডোজ আসবে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সচিবালয় ক্লিনিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আব্দুল মান্নান বলেন, ভ্যাকসিন দিয়ে বের হয়ে কেউ যেন বিরূপ মন্তব্য করতে না পারেন সেভাবে কার্যক্রম চলছে। কেউ যেন কোনো ধরনের অভিযোগ করতে না পারেন সেজন্য আমরা খুব ধীরে যাচ্ছি, যেহেতু আমাদের হাতে সময় আছে। আমরা চাচ্ছি না একটি ভ্যাকসিনও অপচয় হোক। এই কারণে আমরা চমৎকারভাবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, সময় যেহেতু আমাদের হাতে আছে, আরও সুন্দরভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারব।

ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে বয়সসীমা পরিবর্তন করা হবে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার বয়সসীমা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ আমরা চাচ্ছি একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে, উৎসবমুখর পরিবেশে জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এটি কন্টিনিউ করতে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের একটি বাক্স খোলার পর ১০ জনকে দিতে হয়। ভ্যাকসিনগুলো যেন অপচয় না হয় এজন্য নজরদারি করছি। আমরা চাচ্ছি না একটি ভ্যাকসিনও অপচয় হোক। এ নির্দেশনা দেশের ১ হাজার ১০টি ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে। এটা সরকারের অর্থে, জনগণের অর্থে আমরা কিনেছি। সব জায়গায় মেসেজ দিয়েছি একটি ভ্যাকসিন বা একটি ডোজও যেন অপচয় না হয়।

আব্দুল মান্নান বলেন, যেখানে লোকসমাগম হচ্ছে সেখানে আমরা বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি। প্রত্যেকটি জায়গায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের লিমিট করা আছে। আমি এক জায়গায় ৩ হাজার দেব, এক জায়গায় ৩০০ দেব- এ রকম না। আমরা সব সময় পপুলেশনটা দেখছি। একটি স্থানে কত লোক রেজিস্ট্রেশন করেছেন, এর সঙ্গে মিলিয়ে আমরা সাপ্লাই দিচ্ছি।

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশের যে জাতীয় কারিগরি কমিটি আছে তারাসহ আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, এন্টিবডি তৈরি হতে আমাদের আরেকটু বেশি সময় লাগবে। আগে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার মধ্যবর্তী সময় চার সপ্তাহ ছিল। এখন সেটা আমরা আট সপ্তাহ করে দিয়েছি। এতে আমরা একটা বিরাট গ্যাপ পাচ্ছি।

এর আগে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে ২২ ফেব্রুয়ারি।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আনা হবে। দ্বিতীয় চালানও এই মাসেই আসবে বলে আশা করছি। ২১ থেকে ২৫ তারিখের কথা বলেছিলাম। ২২ তারিখেই চলে আসবে বলে আশা করছি। প্রতি মাসে তাই হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সিরামের পাঠানোর কথা থাকলেও এবার কম আসছে। এখন একটু কম আসবে। সঠিক পরিমাণটা বলতে পারছি না। তবে ২০-৩০ লাখের মতো হবে। আমাদের ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের কাছে অলরেডি ৬৫ লাখ আছে। ভ্যাকসিন নিয়ে ক্রাইসিস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

কালের আলো/ডিএসবি/এমএইচএ