বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ফ্রেমবন্দি ইতিহাস ছোঁয়া সাদা-কালো বাস্তবতা
প্রকাশিতঃ 8:50 pm | March 21, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
শোষণমুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত বাঙালির স্বাধীনতার ডাক এসেছিল সেই রেসকোর্স ময়দান থেকেই। সেদিনের উত্তাল জনসমুদ্রে ২৩ বছরের বঞ্চনার ইতিহাস মাত্র ১৯ মিনিটে তুলে এনেছিলেন ইতিহাসের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
অমর সেই স্মৃতি নব প্রজন্মের মাঝে চির জাগ্রত করে রাখতেই মনোমুগ্ধকর এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন।
শুধু কী তাই? বিষয়টি তেমন নয় মোটেও। ফ্রেমের পর ফ্রেমে চোখ মিলে তাকালে নজরে আসে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ক্যামেরাবন্দি নানান ছবি। ইতিহাস ছোঁয়া এসব ছবি প্রকৃত অর্থেই একেকটি ইতিহাস। বলা চলে, ফ্রেমবন্দি সাদা-কালো বাস্তবতা।
দুই সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে মোট ১৩০ টি ছবি ঠাঁই করে নিয়েছে। অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামের চারপাশে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্বলিত ফেস্টুন।
ভিন্ন মহিমায় পালিত হওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চ; স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে চলছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন। গোটা বিষয়টিকে যেন এক সুতোয় গেঁথেছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.ইকরামুল হক টিটু। গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেলে তিনি অনিন্দ্যসুন্দর এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন।

একাত্তরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব বেশিরভাগ ছবিই বিশ্বমঞ্চে সাড়া ফেলেছিল। অবিস্মরণীয় এমন সব ছবি মনে গেঁথে যায়। ছুঁয়ে যায় হৃদয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের রূপকার, স্বার্থক নায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই প্রদর্শনীতে হয়ে উঠেছিলেন জীবন্ত।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নানা মুহুর্ত যেন বাঙালি জাতিকে টেনে নিয়ে যায় যুদ্ধের সময়কার দিনগুলোতে। বঙ্গবন্ধুর তর্জনী নির্দেশ করছে বাঙালির ঠিকানা-এমন মন্তব্য ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.ইকরামুল হক টিটুর।
তিনি বলেন, ‘বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে আক্ষরিক অর্থেই রূপ দিতে এক সাধারণ মানুষ হয়েই বঙ্গবন্ধু নেমেছিলেন মুক্তির বারতা নিয়ে। স্বাধিকারের কথা উচ্চারণ করে অবলীলায় কারাবরণ করেছেন।
মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত করতেন। বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর মার্চের এই ভাষণ ও উদ্দীপ্ত জনতার ছবিও প্রদর্শিত হচ্ছে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে।’

রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে নিজের দু’শিশু সন্তান আরাফাত ও সুমাইয়াকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এসেছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে রুবাইয়াত আলম।
এ বিষয়ে কালের আলোকে তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে এ কারণেই আমার দু’সন্তানকে নিয়ে এ প্রদর্শনী দেখতে এসেছি। এখানে তুলে ধরা হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাস। এটি জানান দিয়েছে বাঙালির সাহস, শক্তি ও ঐক্যের বার্তা।’
কালের আলো/এলআর/এমএ