মুসলিম বিশ্ব সাদরেই গ্রহণ করেছে নরেন্দ্র মোদীকে

প্রকাশিতঃ 10:15 am | March 23, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

ভারতে মুসলিম নিগ্রহের অভিযোগ তুলে ওয়াজ মাহফিল কাঁপিয়েছেন হেফাজতের আমির বাবু নগরী-মামুনুল হকরা। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় বন্ধু রাষ্ট্রের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের বিরোধীতা করে ‘ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকার’ অপচেষ্টার ‘খোয়াব’ দেখছেন স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তিই।

আরও পড়ুন: তখন মুখে কুলুপ এঁটেছিল হেফাজত?

অথচ ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, মুসলিম বিশ্ব বেশ সাদরেই গ্রহণ করেছেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রীকে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী এইচ এইচ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মুকতোমের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী অনেক আগেই বৈঠক করেছেন।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি যুবরাজ সালমান একদিনের সফরে ভারত যান। ওই সময় সরকারি প্রোটোকল ভেঙে নয়াদিল্লিতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সৌদি যুবরাজ ওই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাতে মোদিকে বড় ভাই আর নিজেকে মোদির ছোট ভাই বলে অভিহিত করেন।

দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার সময় নয়াদিল্লি-রিয়াদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ঘোষণা দেন। মুসলিম বিশ্বের বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন চমৎকার সম্পর্কের বিপরীতে চিরকাল ভারতবিরোধী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহলটির নতুন নীলনকশা নিয়ে যারপরেনাই মোটা দাগে প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকেই বলছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু। এ অঞ্চলে ইসলামের ইতিহাস শত বছরের পুরোনো। এই ইসলাম জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। শান্তিপ্রিয় ইসলামের অনুসারী এই দেশের মানুষ। হেফাজতের নেতাদের উগ্রভাষার বক্তব্য, হুমকি-ধমকি ইসলামের সনাতন শান্তির ধারার সমর্থন করে না মোটেও।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, মুসলিম বিশ্বের নেতারা মোদীকে যেভাবে বরণ করেছেন সেখান থেকে হেফাজতের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।’

কালের আলো/এলআর/এমএ