সাদা পোশাকে ধরপাকড় সংবিধান সম্মত নয়, আইনের লঙ্ঘন: ড. কামাল

প্রকাশিতঃ 3:36 pm | September 11, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যেভাবে ধরপাকড় হচ্ছে এটা নিয়ে উদ্বেগের কারণ আছে। কাউকে গ্রেফতার করতে হলে ওয়ারেন্টসহ ইউনিফর্ম পরে আসতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে। যেন সে জামিন চাইতে পারে। এখন যেভাবে সাদা পোশাকে ধরা হচ্ছে সেটা সংবিধান সম্মত নয়, আইনের লঙ্ঘন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ধরপাকড় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

বিশেষ কারণে দুই একবার সাদা পোশাকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। তবে এটা এখন নিয়মিত করা হচ্ছে। কারো অপরাধ থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাও সংবিধানে স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে কীভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে। এখন যা হচ্ছে সরকার তা করতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বে আইনি শাসনে চলে যাচ্ছি। সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। সাবধান হতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হবে। দ্রুত ধরপাকড় বন্ধ করা হোক। ক্ষমতার প্রয়োগ হবে আইন ও সংবিধানের ভিত্তিতে।’

এতে তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া উচিৎ এবং চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। সংবিধানে উল্লেখ আছে, কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা দেয়া উচিৎ। সরকারের ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় আমরা সভ্য সমাজে বাস করি।’ এছাড়া, কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আদালতে গেলে বলব এটা সংবিধান সম্মত না। কোর্ট বিচার করবে এটা আসলেই সংবিধান সম্মত কি না।’

ড. কামাল বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। আমি আগে বলেছিলাম নির্বাচনটা আদৌ হবে কি না। আসলে নির্বাচনটা হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ দরকার। কিন্তু এখন ভয়ভীতির আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।’

জাতীয় ঐক্য পসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,‘২২ শে সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। একই দিন মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুমতি দেয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দীতে সরকারের সবাই সমাবেশ করতে পারে অথচ বিরোধীরা চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে না করে দেয়া হয়। এটা বৈষম্য। এটা সংবিধানের ১৬ আনা পরিপন্থী। ’

কালের আলো/ওএইচ