কারখানা চালু রাখার পক্ষে উদ্যোক্তারা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের না
প্রকাশিতঃ 12:08 am | April 11, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সাতদিনের জন্য কঠোর লকডাউনে ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস, গণপরিবহন এবং শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এই ব্যপারে রোববারের (১১ এপ্রিল) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে শিল্প-কলকারখানাগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
তারা বলছেন, শ্রমিকরা কারখানার মধ্যে থাকলে সংক্রমণ হার কমবে। উদ্যোক্তাদের মতে, বিশ্বের অনেক উন্নত-উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোতে লকডাউন চলছে। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অনেক প্রদেশও লকডাউনের আওতায় এসেছে। কিন্তু সেখানে উৎপাদনমুখী শিল্প চলছে, উৎপাদন অব্যাহত আছে এবং সঙ্কটকালে স্ব স্ব দেশের অর্থনীতিতে তারা ভূমিকা রাখছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন কোমল বা কঠোর হয় না। লকডাউন হলো- সবকিছু বন্ধ থাকবে, সেটা কারখানা-সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হতে পারে। কিছু বন্ধ, কিছু খোলা রেখে লকডাউন হলে সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মনে রাখতে হবে, মানুষের জীবন যেন মুনাফার কাছে মলিন না হয়।
শিল্পোদ্যোক্তা এবং বিজিএম এর পরিচালক ফজলে শামীম এহসান গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, যারা কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারবেন তাদের কারখানা চালু রাখতে দিন, যাতে তারা সময় মতো পণ্য রফতানি করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশীদার হতে পারেন।
কালের আলো/আরএস/এমএইচএস