কবে আলোর মুখ দেখবে গ্লোবের ‘বঙ্গভ্যাক্স’
প্রকাশিতঃ 2:33 pm | April 20, 2021
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছিলো কিছুটা স্বস্তি, কিন্তু পুরো বিশ্বে যে ভ্যাকসিন নিয়ে কাড়াকাড়ি বাংলাদেশ পেয়েছে সেই ভাগ বাটোয়ারার খুব কমই। মাত্র ৫০ লাখ মানুষ পেয়েছে করোনার টিকার প্রথম ডোজ বাকি ১৬ কোটি মানুষ ঘুরছে জীবন বোমা হয়ে।
অথচ নিজেদের সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা আটকে আছে নিজেদেরই ঘরে। তিন মাসেও বাংলাদেশ মেডিকেল রির্চাস কাউন্সিল বিএমআরসি ছাড়পত্র পাইনি গ্লোব বায়োটিক করোনা ভ্যাকসিন। ফলে দেশে তৈরি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষায় যেতে পারছেনা।
গ্লোব বায়োটিক এর অভিযোগ কিছু মানুষের কলকাঠিতে আটকে আছে দেশের অন্যতম একটি মাইলফলক সাফল্য।
গ্লোব ফার্মা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদন করার জন্য লাইন্সেস দিয়েছে সরকার। সরকার তো আমাদের পক্ষে। কিন্তু বিএমআরসি কি কারণে দিচ্ছেনা, কার কারণে দিচ্ছেনা তাও বুঝা যাচ্ছেনা।
এদিকে গ্লোবের টিকার অনুমোদন পেলে সেটি হতো বিশ্বের ৩য় এমআরএম টিকা। যার কার্যকারিতা অনেক বেশি। কেবল এক ডোজেই মিলবে করোনা থেকে মুক্তি। মাসে এক কোটি ডোজ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত ছিলো গ্লোব।
এ বিষয়ে কথা হয় বিএমআরসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, যখন আমরা একটা ফাইনাল স্টেজে যাচ্ছিলাম। ঠিক তখনই ভ্যাকসিন রোল আউট শুরু হয়। সরকার আমাদেরকে নির্দেশ দেয়, এখন যদি আবার ভ্যাকসিনের ট্রাইল চলে। তাহলে আমাদের রোল আউট কন্ট্রিক্ট অফ ইন্ট্রার্কস হতে পারে। সুতরাং আমরা যতো সময় না বলি তত সময় এইটা বন্ধ থাকুক।
বিএমআরসির চেয়ারম্যানের সাথে দ্বিমত পোষন করে গ্লোবের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপে বা অ্যামেরিকাতে একাধিক ভ্যাকসিন কিন্তু অনুমোদন হয়েছে। তারপরও কিন্তু সেখানে ট্রাইল চলছে । অন্য ভ্যাকসিনের কিন্তু ট্রায়াল চলছে। আমাদের এখানে একটি ভ্যাকসিন রোল আউট হচ্ছে এই শব্দটা উনারা বলছেন। তাহলে অন্য ভ্যাকসিনের ট্রায়ালই করা যাবেনা। এটা কোন ধরনের রেফারেন্সের আলোকে বলছেন। এটি দুর্বোধ্য কথা বলছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, উনাদের যে প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে আমাদের লোকজন গিয়েছিল, তারা দেখে আসছে। উনারা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উনাদের একটু সময় লাগবে। তাদের নতুন প্রতিষ্ঠান তাদের অনেক ধাপ পার হতে হবে।
কোন এক অদৃশ্য বেড়াজালে আটকে আছে গ্লোবের এই সফলতা। করোনার টিকা নিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য মানুষের জীবনের চেয়ে বাণিজ্যের কতৃত্ব থাকবে কার হাতে তা নিয়েও প্রতিযোগিতা।
প্রত্যেকটি বাংলাদেশীর প্রত্যাশ দ্রুত সময়ে ট্রায়াল সম্পন্ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হোক বঙ্গভ্যাক্স নিয়ে।
কালের আলো/এমএইচএস/এমএম