মেয়রের ‘চিকেন বিরিয়ানি’, অতৃপ্তি ঘুচিয়ে দিচ্ছে স্বস্তি!

প্রকাশিতঃ 3:09 am | May 08, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

ডিএনসিসি অঞ্চল-১ উত্তর কমিউনিটি সেন্টার। চলছে চিকেন বিরিয়ানি রান্নার সব আয়োজন। না, কোন অনুষ্ঠান নয়। নগরীর শ্রমজীবীদের আতিথেয়তার জন্যই এমন আয়োজন নগর পিতার । রান্না শেষে বিরিয়ানি প্যাকেট হয়ে ঠাঁই নিচ্ছে ছোট্ট ছোট্ট হিউম্যান হলারে। চলে যাচ্ছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে।

আরও পড়ুন: সবার আগে করোনা দুর্যোগে নাগরিকের পাশে মেয়র আতিকুল ইসলাম

ইফতারের আগ মুহুর্তেই নগর পিতার আহারের বন্দোবস্ত কর্মহীন সংগ্রামী খেটে খাওয়া মানুষগুলো গ্রহণ করছেন অন্তরস্থিত শ্রদ্ধায় । হাসি-আনন্দমাখা এমন সব মুখচ্ছবি ক্ষণিকের জন্য হলেও অতৃপ্তি ঘুচিয়ে এনে দিচ্ছে স্বস্তি।

বলা হচ্ছে, চলমান লকডাউনে আয় রোজগারহীন প্রান্তিক বাসিন্দাদের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের নতুন উদ্যোগ ‘ক্ষুদ্র প্রয়াস’ নিয়ে।

আরও পড়ুন: মেয়র আতিকুলের সঙ্গে কচি সূর্য সন্তানদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান! (ভিডিও)

‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’ এর উদ্যোগে প্রথম দিন শুক্রবার (০৭ মে) উত্তরা ৬ নং সেক্টর কমিউনিটি সেন্টার থেকে নিজের মানবিক আর্দ্র হৃদয়ের এই সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন মেয়র।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, উদ্বোধনী দিনে নগরীর ৭ টি ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছে চিকেন বিরিয়ানির ২ হাজার ৮০০ টি প্যাকেট।

শনিবার (০৮ মে) থেকে সংখ্যাটি ৩ হাজার ৬’শ প্যাকেটে উন্নীত করার কথা জানিয়েছেন ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’ প্ল্যাটফর্ম। হাতে হাতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজে তাদের সহায়তা করছেন বিডিক্লিনের স্বেচ্ছাসেবকরা।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম কালের আলোকে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলমান বাস্তবতায় ৫৪ টি ওয়ার্ডে খাবার সঙ্কটে থাকা নিম্ন আয়ের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে এই খাবার।’

‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’ সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাণের নগরীর তৃণমুলের পথশিশু, বয়স্কদের ‘হাসিমুখ’ নিশ্চিত করতে আতিকুল ইসলামের এই আয়োজন চলবে চাঁনরাত অর্থাৎ ঈদের আগের দিন অবধি। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবেন।

নির্দিষ্ট সময়ে ধাপে ধাপে ডিএনসিসির ৫৪ টি ওয়ার্ডেই পৌঁছে যাবে ডিএনসিসি মেয়রের বিশেষ এই উপহার। এর মাধ্যমে আতিকুল ইসলাম আরও একবার সঙ্কটে দায়িত্বশীল মানবিক মনের পরিচয় দিয়েছেন। মেলবন্ধনও ঘটিয়েছেন নিজের আর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে, এমনটিই মনে করছেন সচেতন স্থানীয়রা।

কালের আলো/জিকেএম/এমকে