বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন আজ
প্রকাশিতঃ 10:08 am | May 08, 2021
নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
‘হে নূতন,/দেখা দিক আর-বার/জন্মের প্রথম শুভক্ষণ তোমার প্রকাশ হোক/কুহেলিকা করি উদ্ঘাটন/সূর্যের মতন।’ নিজের জন্মদিন উপলক্ষে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে এভাবেই নতুনের ডাক দিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বছর ঘুরে আবার এসেছে সেই দিন। আজ শনিবার, ২৫শে বৈশাখ। কবিগুরুর ১৬০তম জন্মজয়ন্তী আজ।
বাঙালির চিরকালের সঙ্গী রবীন্দ্রনাথ; উৎসবে-সুখে-দুঃখে, সংগ্রামে-দ্রোহে তিনি সাহস ও অনুপ্রেরণা। করোনাভাইরাসের মহামারি ও মৃত্যুর বিভীষিকায়ও বাঙালি আশ্রয় খুঁজে পায় রবীন্দ্রনাথের কাছে। কবির রচনা গান দেয় সাহস ও অনুপ্রেরণা। কবি যখন বলেন, ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।/তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।’ অনন্ত জীবন ও পৃথিবীর মঙ্গল কামনা ছিল যাঁর পরম সাধনা, বিপন্ন বিশ্ব-সমাজের শুভ কামনায় তাঁরই বাণী সবাইকে জোগায় অভয় শক্তি।
প্রতিবছর ২৫শে বৈশাখে রবীন্দ্র সৃষ্টি ঘিরে চলে নানা উদযাপন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হয়। কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর ও খুলনার দক্ষিণ ডিহি-পিঠাভোগে থাকে নানা আয়োজন। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন নেই। কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১২৬৮ বঙ্গাব্দের (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ) ২৫শে বৈশাখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্ম বিরল প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। বাঙালির বিস্ময়কর এ প্রতিভার সৃষ্টি বহুমাত্রিক। তাঁর রচনা বিপুল ও বিচিত্র। কবিতা, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, নাটক, ভ্রমণকাহিনি, সংগীত, শিশুসাহিত্য—নানা শাখায় তাঁর অবদান অতুলনীয়। চিত্রকলাকেও তিনি সমৃদ্ধ করে গেছেন। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদান যুগান্তকারী।
১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তাঁর গান ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর রচনা বাঙালিকে প্রেরণা জুগিয়েছে।
কালের আলো/এসকে/এমএম