‘দিন বদল’ এর পরিবর্তে যা আনছে মহাজোট

প্রকাশিতঃ 7:38 pm | September 18, 2018

কালের আলো ডেস্ক:

২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ শিরোনামে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ভোটার টানতে ওই ইশতেহার ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল বলে মনে করা হয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এবারো মহাজোটের বিশদ পরিকল্পনাসহ একটি ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে।

ইশতেহারের কাজ এগিয়ে গেলেও নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি।

আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের শরিক দুটি দলের নেতা জানিয়েছেন, সিট বণ্টনসহ মহাজোটের বেশকিছু নির্বাচনী পরিকল্পনা আটকে আছে বিএনপি নির্বাচনে আসবে নাকি আসবে না তার ওপর।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে একটানা দুই মেয়াদে প্রায় ১০ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার।

প্রথম মেয়াদে মহাজোট ক্ষমতায় আসার আগে দিন বদলের বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ১০ বছরে সেসব প্রতিশ্রুতির কতটা পূরণ হয়েছে?

চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত ১০ বছরে সাধারণ মানুষের কারো কারো হয়তো প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আবার অনেকের মধ্যে ক্ষোভও দেখা যাচ্ছে।

সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আসছে নির্বাচনে নতুন কী প্রস্তাবনা ভোটারদের সামনে হাজির করবে আওয়ামী লীগ?

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০০৮ সালে আমরা ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এখন সেসব উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমার বিশ্বাস জনগণ ভোটের সময় এগুলো অবশ্যই বিবেচনা করবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ারে প্রবেশ করেছি। এটা অব্যাহত রাখার বিষয় আছে। আমরা বলছি, ২০৩১ সালের মধ্যে দেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত। ২০৪১ সালে দেশ হবে সমৃদ্ধিশালী।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের চেহারা বদলে দিতে খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ ১০টি খাতে আরও ব্যাপক উন্নয়নের বিশদ প্রস্তাবনা তারা নাগরিকদের কাছে তুলে ধরবেন।

তবে এসব প্রস্তাব তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে কতটা ভূমিকা?

বিশেষ করে নিরাপদ সড়ক বা কোটা সংস্কার নিয়ে তরুণদের একটা বড় অংশের ক্ষোভ-বিক্ষোভ আর তা দমনে সরকারের কঠোর মনোভাবের পর তরুণরা কি ব্যাপকভাবে মহাজোটকে সমর্থন করতে পারে?

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন মনে করেন, নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের পক্ষেই পাবেন তারা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মোট ভোটারের প্রায় ১৫ শতাংশ তরুণ। সুতরাং তরুণদের গুরুত্ব দিতেই হবে। তরুণদের ক্ষোভের পেছনে মূল কারণটা কী? সেটা হচ্ছে কর্মসংস্থান। আমরা এটার ব্যবস্থা করব। এছাড়া কোটা সংস্কারের বিষয়টিও আশা করছি নির্বাচনের আগেই সমাধান হয়ে যাবে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা