আ’লীগের সঙ্গে সমঝোতায় ৪৬ আসনে প্রার্থী দিতে চান রওশন এরশাদ

প্রকাশিতঃ 4:13 pm | September 21, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো :
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই এবারো আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে ৪৬ আসনে প্রার্থী দিতে চান বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি। পাশাপাশি পুনরায় সরকার গঠন করলে জাতীয় পার্টির কমপক্ষে ৬ জন মন্ত্রী রাখারও অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে তিনি এমন দাবি উপস্থাপন করেন। বিরোধী দলীয় নেতা সংসদ সদস্য পদে দলের পছন্দের একটি তালিকাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা কালের আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দলটির একাধিক নেতা মনে করেন, বিএনপিহীন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শুধুমাত্র বেগম রওশন এরশাদের কারণেই টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও যারপরেনাই গভীর হৃদ্যতা রয়েছে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের। রওশন এরশাদের অনুরোধ কোন সময়ই উপেক্ষা করেন না বঙ্গবন্ধু কন্যা।

সূত্র জানায়, ‘পোড় খাওয়া’ নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ আবারো চান শেখ হাসিনার পাশে থাকতে। বিএনপি নির্বাচনে এলে মহাজোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জোটের বিজয় নিশ্চিত করতে আন্তরিক তিনি।

নবম জাতীয় সংসদে মহাজোটগতভাবে জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। পরের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আকস্মিকভাবে ভোট বর্জন করে বিএনপি। ফলে নির্বাচন নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। কিন্তু সংবিধানের বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়েই ভোট অনুষ্ঠানে অনড় থাকেন প্রধানমন্ত্রী।

আর এই সময়টাতেই বিরোধী দল হিসেবে আতœপ্রকাশ ঘটে জাতীয় পার্টির। এরশাদের রহস্যময় ভূমিকায় দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে এবং দেশকে ঘোর অন্ধকার থেকে রক্ষা করতে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন দলটির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।

এই সংসদে বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টির ৩৪ জন এমপি রয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনে ছয়জন সংসদ সদস্য আছে তাদের। পরে এক উপ-নির্বাচনে আরও একজন জিতে সংসদে জাতীয় পার্টির এমপি’র সংখ্যা ৪১’এ গিয়ে ঠেকে। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রথমবারের মতো সরকারেও ভাগ বসায় দলটি। একজন পূর্ণ মন্ত্রী, দু’জন প্রতিমন্ত্রীও পায় তাঁরা। দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ পান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের সম্মান।

আর মৃদুভাষী রওশন নিজের জেলা ময়মনসিংহের চার দশকের প্রাণের ময়মনসিংহ বিভাগ দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আদায় করেন। ফলে সব দিক থেকে সফল রওশন এরশাদকে নিজের ‘একান্ত বিশ্বস্ত’ হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী এবারো নিরাশ করবেন বলেই মনে করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

কালের আলো/এসএম/এএ