এইচটি ইমামের ছেলের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, আটক ২
প্রকাশিতঃ 12:58 pm | June 24, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কথিত এমপি জহির উদ্দিন বাবুল ও সহযোগী নারী গুলশান আরা খানম লাভলীকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আটকৃতদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া আসনের সরকার দলীয় এমপি তানভির ইমামের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৪ জুন) সকালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। চাকরির প্রলোভনে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও খালি চেক নেওয়ার পর তাতে টাকার অঙ্ক বসিয়ে টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশকে তদবির করতেন তারা।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজজামান জানান, ফকিরাপুলের হোটেল সেল্টারে গত ৩ বছর ধরে অবস্থান করে প্রতারণা করে যাচ্ছিলেন জহির উদ্দিন। নিজেকে এমপি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও পুলিশের কাছে তদবির করতেন।
গুলশান আরার হেফাজত থেকে ৮টি চেক উদ্ধার করা হয়। খালি চেক নেওয়া হলেও তাতে মোট টাকা ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা উল্লেখ রয়েছে।
প্রতারণার শিকার নজরুল ইসলাম জানান, তার ভাইয়ের ছেলে ও মেয়েকে সেনাবাহিনীর সিভিলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত জানুয়ারিতে ১৭ লাখ টাকা চুক্তি করে। এরপর ৬ লাখ টাকা নগদ এবং ৫টি চেক নেয়। কিন্তু চাকরি ও টাকা ফেরত না দিয়ে ব্ল্যাঙ্ক চেকে ২০ লাখ টাকা বসিয়ে উকিল নোকিশ পাঠায়। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
ডিবি কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, তদন্ত চলাকালে কথিত এমপি জহির উদ্দিন বাবুল, এমপি তানভির ইমাম সেজে গুলশান আরা খানম লাভলীর টাকা উদ্ধারের জন্য তদবির করেন। গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারক চক্রের মূল হোতা জহির উদ্দিন বাবুল ও তার সহযোগী গুলশান আরা খানম লাভলীকে রাজধানী ঢাকার হোটেল সেল্টার থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, চক্রটি গত তিন বছর ধরে প্রতারণা করে আসছে। গ্রেফতার জহির উদ্দিন বাবুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত ডা. মাহতাব উদ্দিন আহম্মদের ছেলে। সে গত তিন বছর ধরে রাজধানীর ফকিরাপুল হোটেল সেল্টারে অবস্থান করছেন। এছাড়া গুলশান আরা খানম লাভলী নেত্রকোনার পূর্বধলার সাহুদকোন গ্রামের হায়দার আলী খানের স্ত্রী। তিনি ময়মনসিংহ শহরের সেনবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আফরোজা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতার দুই জনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার।
কালের আলো/ডিআরবি/এমএম