চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 12:09 am | June 26, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে চলমান ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক’ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা আর থাকবেনা। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি যাতে সহজে শহর থেকে নেমে যায় এর জন্য সেবা সংস্থাগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে।

শুক্রবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মোহনায় চাক্তাই ও রাজাখালী খালের প্রবেশ মুখে নির্মাণাধীন স্লুইস গেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

প্রকল্পের নির্মাণাধীন কাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছুটা জনদুর্ভোগ হবে। ভবিষ্যতে ভালো কিছুর জন্য সাময়িক এই সমস্যা একটু কষ্ট হলেও সহ্য করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে ডিজাইন করা হয়েছে কি না এবং কাজের গুণগত মান ঠিক আছে কি না সেটাও মনিটরিং করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন করে প্রকল্প নেয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সকল প্রকল্প ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে যদি জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান না হয়। সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে নতুন প্রকল্প নেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে অবশ্যই নেওয়া হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জনমানুষের কল্যাণে সিটি কর্পোরেশন যদি সুনির্দিষ্ট করে কোন খাল খননের প্রয়োজন বলে মনে করে তাহলে সেটা মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করলে বিবেচনায় নেয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। মানুষের কল্যাণে যা যা করা প্রয়োজন তার সবই করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতা আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মো.তাজুল ইসলাম বলেন, সমন্বয়হীনতা থাকলে সেটা সমাধান করা সম্ভব এবং এ লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই সমন্বনহীনতার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। সমন্বয়হীনতা সমাধানযোগ্য কিন্তু ভুল করে কাজ করলে সেটা সংশোধন করা কঠিন।

এরআগে মন্ত্রী চাক্তাই খালের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন এবং প্রকল্প কাজসমূহ সঠিক সময়ে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এ সময় চট্টগ্রামের মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থা সমূহের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল