নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। লকডাউন চলাকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় এনে পোশাক কারখানা চালু রাখতে চায় ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।

বিজিএমইএ নেতারা বলছেন, কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট বন্ধ হবে এতে ব্যাংক তাদের টাকা দেবে না। তাছাড়া আসন্ন ঈদে কর্মীদের বেতন-বোনাসসহ আগামী মাসের (জুলাই) ১৫ দিনের বেতন দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ অবস্থা বিবেচনায় রফতানিমুখী কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান জানান, লকডাউনে কারখানাগুলো বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সুযোগ কমে যাবে। পোশাক খাতসহ দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চায় পোশাক রপ্তানিকারক ও মালিক সমিতি।

তিনি আরও জানান, লকডাউনে কারখানাগুলো বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সুযোগ কমে যাবে। পোশাক খাতসহ দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চাই।

এই খাতের কয়েকজন উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, এর আগে সরকারের প্রথম দফায় লকডাউনের কারণে বেশ কিছু শ্রমিক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন যারা কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালাতে পারবে না তাদের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। তখন থেকেই শ্রমিকের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কারখানা চালু রাখা হয় যা আজও অব্যাহত আছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট বন্ধ হবে এতে ব্যাংক তাদের টাকা দেবে না। তাছাড়া আসন্ন ঈদে কর্মীদের বেতন-বোনাসসহ আগামী মাসের (জুলাই) ১৫ দিনের বেতন দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ অবস্থা বিবেচনায় রপ্তানিমুখী কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৮ জুন) থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। এসময়ে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। লকডাউনে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।

কালের আলো/ডিআরবি/এমএম