আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার এবার লিটন, সমালোচনার ঝড়
প্রকাশিতঃ 9:44 pm | September 28, 2018
খেলা প্রতিবেদক, কালের আলো:
প্রতিপক্ষ ভারত। সুতরাং, যেমন ইচ্ছা তেমন আউট দিয়ে দিতেই হবে- এমন মানসিকতাই যদি ম্যাচের আম্পায়ার এবং অফিসিয়ালদের থেকে থাকে, তাহলে আর খেলার দরকারই বা কী? আগে থেকে ভারতকে ট্রফিটা দিয়ে দিলেই হয়। সবই তো পূর্বনির্ধারিত।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হওয়া মানেই সেখানে আম্পায়ারের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব থাকবেই। সেটা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হোক, সেটা এজবাস্টনে হোক কিংবা সেটা দুবাইর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হোক। বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আম্পায়ার দেবেনই। সেটা আউট হোক বা না হোক।
ওপেনিংয়ে নেমে ভালো খেলে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। নিজের প্রতিভা আর দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করে এগোচ্ছিলেন। শুধু তাই নয় ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তার চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে নাস্তানুবাদ ভারতীয় বোলাররা। কোনোভাবেই তাকে পরাস্ত করতে পারছিল না।
এমন অবস্থায় ৪১তম ওভারে কুলদীপ যাদবের প্রথম পাঁচ বল থেকে ১০ রান তুলে নিয়েছিলেন লিটন দাস। এরপর গুগলি বলে পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। বলে ব্যাটে করতে না পারায় পেছনের পা বেরিয়ে আসে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত বেলস ফেলে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আউট দেন আম্পায়ার।
রিপ্লাইয়ে দেখা গেছে, প্রথম পর্যায়ে পা ঠিক না থাকলেও ধোনি বল স্ট্যাম্পিং করার আগে নিরাপদে পা ছিল লিটন দাসের। কিন্তু সবাইকে অবাক করে থার্ড আম্পায়ার রড টাকার আউট ঘোষণা করেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
আনিছ মন্ডল নামে একজন ফেসবুকে লিখেন, আমরা জিতে গেছি। খেলা লাগবে না উঠে আয়…।
আনোয়ার সাদাত নামে আরেক জন লিখেন, লিটন দাসের আউটা আবারো বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের কথা মনে করিয়ে দিলো…যে কোনোভাবে ভারতকে ফাইনালে জিতিয়ে দিতে হবে…। ভারত সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে ১৪ জনে খেলে…!!! আজও ১৪ জন নিয়ে খেললো।
পাভেল মাহমুদ নামে একজন লিখেন, লিটন আউট হইল কেমনে, পা তো দাগেই আছে… বাংলাদেশ বনাম আইসিসি!
রাকিবুল ইসলাম রাহাত লিখেন, লিটনের এই আউটের পর খেলার কোন দরকার আছে বলে মনে হয়না আমার। কাপ ইন্ডিয়ার মেনে নিয়ে ওয়াক ওভার দেয়া উচিত।
ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক শামীম আশরাফ চৌধুরী বলেন, আম্পায়ার অনেকগুলো এঙ্গেল থেকে দেখে কেন আউট দিলেন তা বোধগম্য নয়। ব্যাটসম্যানের পা দাগের কয়েক সেন্টিমিটার উপর থাকলে সাধারণত তার পক্ষে সিদ্ধান্ত যায়। এটি আসলে দুঃখজনক।
কালের আলো/ওএইচ