টাইগারদের বিরুদ্ধেই কেন বার বার বাজে আম্পায়ারিং?

প্রকাশিতঃ 9:49 pm | September 28, 2018

কালের আলো স্পোর্টস:

আবারও বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হলো বাংলাদেশ দল। এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাস কুলদ্বীপের করা ৪১ তম ওভারের শেষ বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে আউট হয়েছেন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে লিটনের পায়ের কিছু অংশ পিচের ভেতরেই ছিল।

থার্ড আম্পায়ার রড টাকার এই সিদ্ধান্ত নিতে স্ট্যাম্প ক্যাম, সাইড ক্যাম ও জুম ক্যামের সাহায্য নিয়েছেন। শেষমেশ চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে। বেনিফিট অফ ডাউট হিসেবে সিদ্ধান্তটি আউট দিয়ে দেন। যদিও এটি ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যাওয়ার কথা ছিল।

ভারতের বিপক্ষে এবারই প্রথম বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়নি বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এই ভারতের বিপক্ষেই কলঙ্কিত আম্পায়ারিংয়ে লাল- সবুজের দলের স্বপ্নযাত্রার সমাপ্তি ঘটেছিলো। সেই হতাশাজনক আম্পায়ারিং আবারও ফিরে আসলো এশিয়া কাপের ফাইনালে।

২০১৫ সালের ১৯ মার্চের ওই ম্যাচের ৪০তম ওভারে রুবেল হোসেনের চতুর্থ বলে ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ রোহিত শর্মা ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিলে তা তালুবন্দি করেন ইমরুল কায়েস। রোহিতের ব্যক্তিগত রান তখন ৯০। কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ফুলটস বলটি নো ডেকে দিলেন!

এরপর থার্ড আম্পায়ারও ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অটুট থাকেন। এই ম্যাচেই আরেকটি বাজে সিদ্ধান্ত ছিল আম্পায়ারের। ৩৪তম ওভারে ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়নার বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন করেছিলেন মাশরাফি। আশ্চর্যজনকভাবে সেই আউটটিও দেননি আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড। আশ্চর্যজনক কেন?

রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিলো বল পিচআপ করে মিডল স্ট্যাম্পের ওপরেই ছিলো। সন্দেহ ছিল বিশ্বকাপে এর আগের দুই ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকানো মাহমুদুল্লাহর আউট নিয়েও। সেই ম্যাচে সিদ্ধান্তগুলো বাংলাদেশের পক্ষে গেলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতো।

কালের আলো/এমএইচএ