আলোর দিশারি জীশান মির্জা, অসহায় মানুষের হৃদয়পুরের গভীরতম কেন্দ্রে পুনাক
প্রকাশিতঃ 7:49 pm | July 05, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
রেলস্টেশন, সড়ক কিংবা ফুটপাতেই জীবন কাটে-খেয়ে না খেয়ে। আদর-ভালোবাসা বা শখ-আহ্লাদ বঞ্চিত এক জীবন। পেটের তাগিদে বা ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ঘুরছে এখান থেকে সেখানে। জীবন কাটে পথে পথে, নানানজনের অবহেলায়। এরই মাঝে আবার লকডাউনে ক্ষুধার আগুন পেটে নিয়ে বরফের মতো জমে বসে থাকতে হচ্ছে। এ যেন এক দুর্বিষহ সময়!
আরও পড়ুন: জীশান মীর্জার নেতৃত্বের এক বছর; মানবিক বিপুল বৈভবে স্বমহিমায় শোভিত পুনাক
কিন্তু অভুক্ত, অর্ধভুক্ত এসব দুস্থ, অসহায় এবং বিপন্ন মানুষের চোখের ভাষা ও মনের ভাষা ঠিকই বুঝেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মির্জা। তাই তো রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসবাস করা এসব ভাগ্যবিড়ম্বিত নাগরিকের পাশে মানবতার উজ্জ্বল আভায় নিজেকে সমর্পণ করেছেন তিনি।

করোনাকালে সরকার ঘোষিত লকডাউনে বিপন্ন মানুষের পাশে আলোর দিশারি হয়েই দেখা দিলেন পুলিশপ্রধান পত্নী। পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতিকে (পুনাক) উপস্থাপন করলেন এক মানবিক সংগঠনরূপে।
আরও পড়ুন: সত্য-সুন্দর ধ্বনিতে শিশুদের মনে একাত্তরের বিজয়গাঁথা এঁকে দিলেন জীশান মির্জা
রোববার (০৪ জুলাই) রাত ১০ টায় জীশান মির্জার নেতৃত্বে পুনাক নেতৃত্ব নিরন্ন মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় খাবার। এ কার্যক্রম চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

পরম মমতায় প্রশান্তির ছায়ায় পরিপ্লুত করেছেন হতাশ, অবসন্ন ও বঞ্চিত মানুষের হৃদয়-মনকে। এসবের মাধ্যমেই যেন বিপন্ন, অসহায় এবং অতি দরিদ্র এসব মানুষের হৃদয়পুরের গভীরতম কেন্দ্রেই নিবিড়ভাবেই বসত গড়েছে পুনাক।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, পুনাক সভানেত্রী জীশান মির্জা গত ৪ জুলাই রাতে নিজের সংগঠনের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাত ১০টায় সড়কে বেরিয়ে পড়েন। তারা গভীর রাত পর্যন্ত রাজধানীর রাজারবাগ, শাজাহানপুর, কমলাপুর, গুলিস্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, বাংলামোটরসহ বিভিন্ন স্থানে গরীব, অসহায় মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।

সূত্র জানায়, জীশান মির্জা সভানেত্রীর দায়িত্বে আসার পরই মূলত জনসম্পৃক্ত নানাবিধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোকময় অগ্রযাত্রা সূচিত হয় পুনাকের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, স্বজনের মায়া ত্যাগ করে করোনার বিরুদ্ধে রক্তপাতহীন লড়াইয়েও ক্লান্তিহীন পথচলা শুরু করে অরাজনৈতিক এই সংগঠনটি। মানবসেবায় নিজেদের সঁপে দেন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা। নির্ঘুম রাত, ব্যস্ত দিনে তারা রচনা করেন মানবতার জয়গাঁথা।
সূত্র বলছে, একাধিকবার পুনাক সভানেত্রী তাঁর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দুস্থ ও অসহায় মানুষের হাতে খাবার তুলে দেন। করোনায় জীবন হারানো ব্যক্তিদের অন্তিম সৎকারে নিবেদিত যোদ্ধাদেরও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রথমবারের মতো পুনাক সভানেত্রী জীশান মির্জা মানবতার অবদানের জন্য চালু করেন সার্টিফিকেট এবং সম্মাননা। পুনাকের এসব কর্মকাণ্ড সব মহলেই প্রশংসা কুড়িয়েছে।

একজন পরিশীলিত, মার্জিত, আধুনিক, সংবেদনশীল, মানবিক, বিচক্ষণ ও পুরোমাত্রায় প্রাগ্রসর মানুষ পুনাক সভানেত্রী জীশান মির্জা। স্বামী বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিকায়নের স্বার্থক রূপকার ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর মতই যুক্তিনিষ্ঠ, মানবতাবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক তিনি।
নিঃস্বার্থ আর মানবহিতৈষী চেতনায় তারা নিজেরাই জ্যোতির্ময়ের পরশমণি হয়ে যেন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। পরিপূর্ণ গৌরবে নক্ষত্রের মতো জ্বলেছেন। করোনাকালে মানবিক অনন্য বৈভব ধারণ করে পুলিশ পরিবার ছাপিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝেও অসাধারণ নেতৃত্বগুণে আলোর ঝলকানি তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

কালের আলো/এমএএএমকে