ছলচাতুরির নির্বাচন হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে: বি চৌধুরী
প্রকাশিতঃ 6:05 pm | September 29, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ছলচাতুরির নির্বাচন হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে উল্লেখ্য করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এই যে ছলচাতুরির নির্বাচন; এই যে ইলেকশন বাই অ্যারেঞ্জমেন্ট। এ রকম নির্বাচন ভবিষ্যতে হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশে (আইডিইবি) বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের সব গণতন্ত্রকামী নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনগণের আজকে দাবি, আজকে প্রধান দাবি আমার ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই যে ছলচাতুরির নির্বাচন। এই যে ইলেকশন বাই অ্যারেঞ্জমেন্ট। এ রকম নির্বাচন ভবিষ্যতে হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। গণতন্ত্র চিরকালের জন্য নির্বাসিত হয়ে যাবে। যারাই গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তি তাদের জেগে উঠতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে এবং বলতে হবে যে ওই সব ধরনের কৌশলের নির্বাচন আমরা মানব না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, এটাই হবে এক নম্বর সংগ্রাম।’
২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রী সবার অংশগ্রহণের পুনরায় ভোটের ওয়াদা করে তা বরখেলাপ করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিকল্পধারার সভাপতি। তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলা আছে, ওয়াদার বরখেলাপকারী সত্যিকারের মুসলমান না।
অনুষ্ঠানে মুসলিম লীগকে পুরোনো ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে বর্তমান বাস্তবতা মেনে নিয়ে রাজনীতি করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা। তিনি বলেন, রাজনীতিতে মুসলিম লীগের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। তবে বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনীতি করতে হবে।
অনুষ্ঠানের আরেক অতিথি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বি চৌধুরীদের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে বলেন, সবাইকে নিয়ে ঐক্যের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে এনডিএম বা মুসলিম লীগকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া তিনি মুসলিম লীগকে আরও উদার রাজনীতি করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, দেশ এখন দুটি জোটে বিভক্ত। কিন্তু যে জোটই ক্ষমতায় থাকে দখলের রাজনীতির পরিবর্তন হয় না।
আধিপত্যবাদী আগ্রাসন থেকে দেশরক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে হওয়া এ কাউন্সিল থেকে নয়টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির শাহ আতাউল্লাহ, নেজামে ইসলাম পার্টির মুফতি ইজাহারুল ইসলামসহ মুসলিম লীগের বিভিন্ন জেলার নেতারা।
কালের আলো/এমএইচএ