সড়কে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ ক্ষুব্ধ খামারিদের

প্রকাশিতঃ 11:52 am | July 07, 2021

কালের আলো সংবাদদাতা:

চলমান লকডাউনে দুগ্ধ খামারের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে পারছেন না খামারিরা। বেশ কিছুদিন ধরেই বাজারগুলোয় দুধের দাম কমে যাওয়ায় খরচ জোগাড় করতে না পেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অধিকাংশ দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা। এ অবস্থায় অভিনব কায়দায় কয়েক মণ দুধ রাস্তায় ঢেলে প্রতিবাদ জানায় ত্রিশাল ও কুষ্টিয়ার খামারিরা।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সোমবার (৫ জুলাই) সকালে পৌর বাজারে অর্ধ শতাধিক খামারি ১০০ লিটার দুধ রাস্তায় ঢেলে এ প্রতিবাদ জানান।

লকডাউনের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই বাজারগুলোতে দুধের দাম কমে যায়। প্রতি কেজি দুধ ৩০ টাকা ৩৫ টাকা করেও বিক্রি করতে পারছেন না। এ অবস্থায় খামারি তাদের উৎপাদিতে প্রায় ১০০ লিটার দুধ বাজারের রাস্তায় ফেলে দেন। এ সময় খামারিয়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় মিল্কভিটার মাধ্যমে দুধ ক্রয়ের দাবি জানান।

খামারি আব্দুল হাই বলেন, দুধের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। এই দুধ নিয়ে আমরা কি করব? তাই মনের কষ্টে দুধ রাস্তায় ফেলে দিছি । লকডাউনে আমরা পথে বসে যাচ্ছি এতে আমাদের অনেক লস হয়েছে। গাভীর খাবারের দাম বাইড়্যে গেছে। কিন্তু দুধের দাম বাড়ছে না। এখন সরকার মুখ তুলে না তাকালে আমাদেরকে মরতে হবে।

অন্যদিকে দেশে চলমান পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে খামারের উৎপাদিত দুধ বিক্রি বন্ধ হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অধিকাংশ দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা। এদিকে নিরুপায় হয়ে রাস্তায় দুধ ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খামারিরা।

উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে ছোট-বড় দুগ্ধ খামার। এই গ্রাম থেকে প্রতিদিন দুগ্ধজাত খাবার যেমন- ছানা, দুধের ক্রিম, দই, ঘি, মাখনসহ দুধ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মিষ্টির দোকানগুলোয় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে উৎপাদিত দুধ বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ খামারি।

মাসুদ নামে এক দুগ্ধ খামারি জানান, লকডাউনে বন্ধ রয়েছে উপজেলার মিষ্টির দোকানগুলো। আবার সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিনই নষ্ট হচ্ছে উৎপাদিত দুধ। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরে-আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলায় বাৎসরিক উৎপাদন ২৩ লাখ ৪৫ হাজার লিটার দুধ। আমরা ইতোমধ্যে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটিকে জানিয়েছি দুগ্ধজাত খাবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আওতায় এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত মিষ্টির দোকানগুলো যেন খুলে দেওয়া হয়।

কালের আলো/জেএস/এমএম