জনকল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর যত উদ্যোগ চমকে দিয়েছে বিশ্বকে
প্রকাশিতঃ 10:00 am | July 09, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ’র সংক্রমণ বেশি তীব্র হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই দুঃসময়ে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে খুশির ঈদ। এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সংকুচিত হয়ে গেছে অর্থনীতির অনেক অবকাঠামো। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় করোনাকালে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর নজর ছিল সবদিকে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে মানুষের জীবন ও জীবিকা। লকডাউনের মধ্যে যেন সাধারণ মানুষ কোনো কষ্ট না পায় তার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল নগদ আর্থিক সহায়তা।
এখনও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। এবারও ঈদের আগে দুস্থ ও কর্মহীন পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
এর আগে গত বছর করোনার মাঝেই মে মাসে আঘাত হানে ‘সুপার সাইক্লোন’ আম্ফান। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। করোনার সঙ্গে আম্ফান মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনা করে সংশ্লিষ্টদের বার্তা পৌঁছে দেন।
করোনার প্রথম ঢেউয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হন তাদের জন্য নগদ সহায়তার পাশাপাশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দেয়া হয়। আর এসব প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বজুড়ে করোনা যখন সবাইকে বিচলিত করে তোলে, সেই সময় মনোবল শক্ত করে নিজের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর এতেই বিশ্ববাসী অবাক হয়েছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২১টি প্রণোদনা ঘোষণা করেন।

আর সেই প্রণোদনা প্যাকেজের পরিমাণ ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। এছাড়াও ঋণ, নগদ সহায়তা ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হলো। আর সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার প্রতিচ্ছবি।
এই প্রণোদনা প্যাকেজে কেউ বাদ যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে দেওয়া হয় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতার জন্য দেওয়া হয় ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ। ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পসহ মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকা।
রফতানি খাতে সহায়তা জন্য ছিল ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটি ছিল অবশ্য এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের জন্য। করোনায় চিকিৎসক আর নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করেছেন। এখনও করে যাচ্ছেন।

এসব চিকিৎসক ও নার্সের জন্য সম্মানী বাবদ দেওয়া হয় ১০০ কোটি টাকা। কর্মহীন দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার। করোনার প্রথম ঢেউয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজিতে চাল সরবরাহ করা হয়েছে।
আর ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এই নগদ টাকা এবার দ্বিতীয় করোনার ঢেউয়েও দেওয়া হচ্ছে। বিদেশ থেকে যারা ফেরত এসেছে সেই প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পে যেসব শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ রাখা হয়।
এমনকি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ করোনাকালে যা কিছু সহায়তা পরিকল্পনা সব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব দূরদর্শীতার প্রতিফলন। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের উদ্যোগকে কোনো কোনো দেশ অনুসরণ করেছে।
সারাবিশ্ব যখন করোনায় অর্থনৈতিক দিক থেকে বিপর্যস্ত, জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে চিন্তিত, ঠিক সে সময় জাতিসংঘ উল্লেখ করে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে থাকবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী উদ্যোগ অনেক ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সারিতে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলেন মহান জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জিডিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তা বিশ্বের কাছে ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তার দূরদর্শিতার ফলে আজ হাতের কাছে সবই যেন চলে এসেছে। করোনাকালে ডিজিটাল কার্যক্রম মানুষের কত উপকারে এসেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়া, কাপড়, বই অর্ডার দিয়ে সময়মতো ঘরে ঘরে পৌঁছানো যেন এক বিস্ময়কর ব্যাপার। এবার কোরবানিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে ডিজিটাল পশুর হাট।
গ্রামে বসবাসকারী এক নারী নিজের মোবাইলে শহরে থাকা স্বামীর উপার্জিত টাকা নিমেষেই পেয়ে যাচ্ছেন। সবই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের দৌলতেই।
করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ। ছেলে-মেয়েদের ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। বিভিন্ন মিটিং হচ্ছে অনলাইনে, জুমে। এটা কি কখনও আগে চিন্তা করা গেছে? এই ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্ভাবনী উদ্যোগ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ রয়েছে। এর মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম অগ্রাধিকার পাওয়া বিশেষ উদ্যোগ। বাংলাদেশে বিভিন্ন কার্যক্রম এখন ডিজিটালে রূপান্তর হয়েছে। ফলে মানুষ তার সেবা অল্প সময়ের মধ্যে হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে। এর সুফল এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামে একটি পুরস্কার প্রবর্তন হতে যাচ্ছে। যারা তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদান রাখবে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে। এই পুরস্কার শুধু অনুপ্রেরণার জন্য নয়, উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার জন্য চালু করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় উদ্ভাবনী উদ্যোগ হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। যাদের কোনো ঘরবাড়ি নেই, জমি নেই তাদের ঘরবাড়ি দেওয়ার জন্যই এ প্রকল্প। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রায় এক লাখের বেশি আশ্রয়হীনের মাঝে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে তা হস্তান্তর করেছেন।
ঘরবাড়িহীন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এই উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হয়েছে। নদীভাঙনে যারা নিঃস্ব হয়েছে, ঝড়ে কিংবা বন্যায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের জন্য এই আশ্রয়ণ প্রকল্প আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

‘আমার বাড়ি আমার খামার’ একটি প্রকল্পও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গভীর চিন্তার ফসল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকে ইতোমধ্যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন। এটি বিদেশও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এ ধরনের মডেলের কার্যক্রম বাংলাদেশে এর আগে কখনও হয়নি।
এই প্রকল্পের আওতায় বেকার অনেক তরুণ-তরুণী আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে। যারা অসহায়, যাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে কিন্তু কোনো কাজ করতে পারে না তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ হচ্ছে— সামাজিক নিরাপত্তা। প্রতিবছর বাজেটে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয় শুধু এ খাতে।
বিধবা থেকে শুরু করে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তাসহ আরও বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য এই সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচি যেন ঠিকমতো চলে তার দেখভাল করার জন্য একটি জাতীয় পর্যায়ে কমিটি কাজ করছে। তাদের চলার জীবন যেন সুষ্ঠু হয়, মসৃণ হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী এ উদ্যোগ নেন।
গ্রামগঞ্জের মানুষ যেন তাদের হাতের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পায়, সে মনোভাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি মানবিক উদ্যোগ হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। পাশাপাশি শিশুর মানসিক বিকাশ যেন হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখাই এই উদ্ভাবনী উদ্যোগ। এখন বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এই কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে।

একই সঙ্গে চিকিৎসকেরা যেন সেখানে অবস্থান করে সেবা দিতে পারেন তারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই উদ্যোগে গ্রামের সাধারণ মানুষ খুশি। কারণ তাদের এখন সামান্য চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে হয় না।
একটা সময় গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং হতো, মানুষ হাপিত্যেশ করত। কিন্তু এখন লোডশেডিং শব্দটি মানুষ ভুলে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুতের উদ্ভাবনী উদ্যোগ। করোনাকালে বিদ্যুতের এই উদ্যোগে কোনো ভাটা পড়েনি। বরং এই বিদ্যুৎ দিয়ে এখন দ্বীপগুলোকে আলোকিত করার উদ্যোগ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, এদেশে কেউ আর বিদ্যুৎবিহীন বসবাস করবে না। সবার ঘরে আলো জ্বলবে।
শিক্ষাসহায়তা প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবনী উদ্যোগ। শিক্ষার আলোকে সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এ উদ্যোগ। এই সহায়তা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই উপকার পাচ্ছে।
বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর ব্যতিক্রমী ও সফল উদ্যোগ। বছরের শুরুতে প্রতিটি শিক্ষার্থী নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা থাকে।

নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। এ কারণে দেখা যায়, জাতীয় সব পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার থেকে শুরু করে সর্বত্র এখন নারীর ক্ষমতায়নের পালাবদল হচ্ছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সর্বত্র নারীর মূল্যায়ন হচ্ছে।
পদায়নের ক্ষেত্রেও নারীরা এখন খুব একটা পিছিয়ে নেই। আর যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগে নারীর ক্ষমতায়ন যুক্ত হয়েছে।
দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কোনো শেষ নেই। একই সঙ্গে দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন হওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে। আর সে চিন্তা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিনিয়োগ।
প্রায় ১১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় অর্থনৈতিক অঞ্চল। যেখানে অপার বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে দেশি ও বিদেশিদের। পাশাপাশি শেখ মুজিব শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে ১৩১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে। আগামী কয়েক বছরে এখানে ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আগামী ১ অক্টোবর দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি তুলে ধরা। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। এছাড়া বাংলাদেশের বিনিয়োগ অবস্থা সম্পর্কেও অবহিত করা।
প্রধানমন্ত্রী সবসময় পরিবেশ সুরক্ষার ওপর বিশেষ নজর রাখছেন। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাতে বাংলাদেশ কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা বিশ্ববাসীকে অবহিত করছেন। তবে বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে তিনি নিজেই জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছেন। যে তহবিলের লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেশের বাইরে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন, যা ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। তাই পরিবেশ সুরক্ষা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে দেশজুড়ে মডেল মসজিদ নির্মাণ। এরই মধ্যে ৫৬০টি মডেল মসজিদের ৫০টি উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এসব মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এই মডেল মসজিদ করতে ব্যয় হচ্ছে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা। প্রতি জেলা, উপজেলা এবং উপকূল এলাকায় মসজিদগুলো তৈরি হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. নজিবর রহমান জানান, ‘বিশুদ্ধ ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে পরিণত হবে এই মসজিদগুলো। পরিচালনা করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
তিনি আরো জানান, বিশ্বে কোনো মুসলিম শাসকের একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ এই প্রথম।
যে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করা হচ্ছে তার মধ্যে পাঁচটি জেলা পর্যায়ে এবং ৪৫ টি উপজেলা পর্যায়ে।
তিন ক্যাটাগরির মসজিদের মধ্যে জেলা ও মহানগরে ৬৯টি এবং বাকিগুলো উপজেলা উপকূলীয় এলাকায় স্থাপিত হবে।
কালের আলো/এমএএএমকে