বাংলাদেশে চালু হল এমএনপিএস সেবা
প্রকাশিতঃ 5:45 pm | October 01, 2018
কালের আলো ডেস্ক:
গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন বা সেবা চালু করলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সোমবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান মো: জহুরুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এমএনপিএস সেবা চালুর করার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইল নম্বর পোর্ট্যাবিলিটি সার্ভিস (এমএনপিএস) সেবা চালুর ফলে মোবাইল গ্রাহকগণ তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে যেকোনো অপারেটর বদল করে ভয়েস ও ডাটা সেবা নিতে পারবেন। তিনি বলেন, অপারেটর বদল করতে গ্রাহকদের নির্ধারিত ফি দিতে হবে। একবার অপারেটর বদল করলে কমপক্ষে তিন মাস আর অপারেটর বদল করা যাবে না।
জহুরুল হক বলেন, এই অপারেটর বদল কার্যক্রম ৩০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত অর্থ্যাৎ ১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭ জন গ্রাহক এই সেবা সফলতার সঙ্গে নিয়েছেন। তিনি বলেন, অপারেটর বদল করতে একজন গ্রাহকের মোট ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা লাগবে। এর মধ্যে ট্যাক্স ১০০ টাকা, ভ্যাট সাড়ে ৭ টাকা এবং অপারেটর বদল করলে ৫০ টাকা খরচ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ইনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেক কে মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে দেশে মোবাইল নম্বর পোর্ট্যাবিলিটি বা এমএনপি সেবা প্রদানের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। অপারেশন চালুর পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে মোবাইল গ্রাহকদের ১ শতাংশ, ১ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ, ৫ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ সেবা আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশ এই সুবিধা চালু করেছে। বাংলাদেশ এখন ৭৩ তম দেশ। প্রতিবেশি দেশ ভারত ২০১১ সালে এবং পাকিস্তান ২০০৭ সালে এই সেবা চালু করে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এমএনপিএস সেবা চালু হলে এক অপারেটর নম্বরে অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে। কোন গ্রাহক যে অপারেটরের সেবা পছন্দ করবেন, সেই অপারেটরে বদল হতে পারবেন। সেজন্য তার নিজের মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করতে হবে না। এর ফলে মোবাইল অপারেটরদের গুণগত সেবার মান বাড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, কোন মোবাইল অপারেটর থেকে বের হয়ে গেলে ওই অপারেটরের সুবিধা ফেরত না আসা পর্যন্ত পাওয়া যাবে না। বদল হলে পূর্বেও সেবা বহাল থাকবে বরং বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
পাশ্ববর্তী দেশে এমএনপিএস সুবিধা দিতে কোন চার্জ দিতে হয় না, বাংলাদেশে কেন ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ভারতের গ্রাহক ১১৮ কোটি আর বাংলাদেশে মাত্র ১৫ কোটি তাই চার্জ একটু বেশি। তবে ৬ মাস পর এই চার্জ আবার রিভিউ করা হবে।
তিনি বলেন, মোবাইল ফোন অফনেট ও অননেট করার কারণে গ্রাহকদের খরচ বাড়েনি বরং কমেছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়লেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কমেছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিটিআরসির দায়িত্ব হলো সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, আমরা তাই করেছি।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোবাইল নম্বরে টাকা থাকাকালীন সময়ে কেউ অপারেটর পরিবর্তন করলে পূর্বের অপারেটরে ২ বছরের মধ্যে ফেরত আসলে টাকা ফেরত পাবেন। আর ২ বছরের মধ্যে ফেরত না আসলে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।
এ সময় বিটিআরসির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: মোস্তফা কামাল এবং বিটিআরসির কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএইচ